অনলাইনে পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার নিয়ম কানুন

বাড়িতে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে চান? অনলাইনে পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার নিয়ম, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, আবেদন ফি এবং পুরো প্রক্রিয়াটি সহজভাবে জানতে চান? আমাদের এই সম্পূর্ণ গাইডলাইন আপনাকে দালাল ছাড়াই ঘরে বসে আবেদন করতে সাহায্য করবে।

গ্রামের বাড়িতে নতুন বিদ্যুৎ লাইন নেবেন, কিন্তু অফিসে দৌড়াদৌড়ি, দালালের খপ্পর, আর বাড়তি খরচের চিন্তা করছেন? অনেক সময় সঠিক তথ্য না জানার কারণে সহজ একটি কাজও অনেক জটিল মনে হয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও অনেক সময় কাজ হয় না।

কিন্তু যদি বলি, এই সব ঝামেলা ছাড়াই আপনি ঘরে বসে মাত্র কয়েক ক্লিকে নতুন মিটারের জন্য আবেদন করতে পারবেন? হ্যাঁ, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (BREB) সেই সুযোগ করে দিয়েছে। এই লেখাটি পড়লে আপনি জানতে পারবেন:

  • আবেদন করতে কী কী শর্ত মানতে হবে।
  • কোন কোন কাগজপত্র লাগবে।
  • ঘরে বসে অনলাইনে আবেদন করার প্রতিটি ধাপ।
  • আবেদন ফি কত এবং কীভাবে পরিশোধ করবেন।

চলুন, আর দেরি না করে পুরো প্রক্রিয়াটি জেনে নেওয়া যাক।

মাত্র ১ মিনিটে সিম রেজিস্ট্রেশন কার নামে জানার উপায় 

বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড সম্পর্কে ব্যাসিক তথ্য 

বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (BREB) অনুসারে, বর্তমানে বাংলাদেশের ৯৪% এরও বেশি গ্রামীণ পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ দেয়া হয়েছে, যা ১৯৭১ সালে ছিলো মাত্র ৩%।

BREB ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এখন তখন থেকে বাংলাদেশের গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য মোক্ষম ভূমিকা পালন করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে কাজ করে। দেশের প্রায় ৯০% গ্রামীণ এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এর অবস্থান, যেখানে প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখের বেশি মানুষ বিদ্যুৎ সেবার আওতায় রয়েছে। 

গ্রামীণ বিদ্যুতায়নের জন্য BREB-এর প্রাথমিক পন্থা হলো সোলার হোম সিস্টেম (SHS) স্থাপন। যা ছোট আকারের সৌরবিদ্যুৎ ব্যবস্থা যা স্বতন্ত্র পরিবারকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। সরকার এসএইচএস স্থাপনকে উৎসাহিত করার জন্য ভর্তুকি প্রদান করে।

SHS ছাড়াও, বিআরইবি মাইক্রোগ্রিড এবং মিনি-গ্রিডের মাধ্যমেও বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। এগুলি হলো ছোট আকারের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা৷ BREB প্রায় ৩০০০ মাইক্রোগ্রিড এবং মিনি-গ্রিড ইনস্টল করেছে, যা প্রায় ৮,০০,০০০ পরিবারে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে।

যদিও এখনও এমন অনেক পরিবার রয়েছে যারা এখন অব্দিও বিদ্যুৎ সেবার আওতাভুক্ত হয়নি। কিংবা এমন অনেকে রয়েছে যারা অন্যের নামে করা বৈদ্যুতিক মিটার ব্যবহার করে বৈদ্যুতিক সেবা গ্রহন করছে তাদের জন্য প্রতিনিয়ত দেয়া হচ্ছে নতুন মিটার। 

এক্ষেত্রে আপনিও যদি তাদের মধ্যে একজন হয়ে থাকেন যাদের পল্লী বিদ্যুৎ মিটার প্রয়োজন তবে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য বেশ তথ্য বহুল হতে যাচ্ছে। কেননা এখানে কভার করা হবে পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার পদ্ধতি সম্পর্কে। 

পাশাপাশি থাকবে উক্ত আবেদন সংক্রান্ত সকল তথ্য যেমন: পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটারের জন্য আবেদন, অনলাইনে আবেদনের প্রসেস, পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন ফি কত সেই বিষয় সহ আরো অনেক কিছু। তাই আবেদন করার পূর্বে উক্ত বিষয়ে সকল তথ্য জেনে রাখুন যাতে করে পরবর্তীতে কোনো প্রকার সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয়। 

পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করতে যে শর্ত গুলো মানতে হবে

পল্লী বিদ্যুতের  মিটারের জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে আপনাকে বেশ কিছু শর্ত মেনে চলতে হবে। সে শর্তগুলো বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে। আপনার সুবিধার্থে সে শর্তগুলো এখানেই উপস্থাপন করা হলো:

১) ছবি ও ডকুমেন্টস: আবেদন করার সময় আপনার রঙিন ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং জমির দলিলের স্ক্যান কপি প্রস্তুত রাখতে হবে।

২) দূরত্ব: আপনার বাড়ি থেকে সার্ভিস পোলের (বিদ্যুতের খুঁটি) দূরত্ব অবশ্যই ১৩০ ফুটের কম হতে হবে। এর বেশি হলে আবেদন গ্রহণ করা হবে না।

৩) সঠিক তথ্য: সার্ভিস ড্রপের দূরত্ব মাপার সময় ভুল তথ্য দিলে পরবর্তীতে সংযোগ পেতে সমস্যা হতে পারে।

৪) লোড: আপনার বাড়িতে যদি ১৮ কিলোওয়াটের বেশি বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়, তবে আপনাকে সাধারণ মিটারের বদলে এইচটি (High Tension) সংযোগের জন্য আবেদন করতে হবে।

৫) ফি সংক্রান্ত বার্তা: অনলাইন সার্ভে শেষ হলে আবেদন ফি, মেম্বারশিপ ফি এবং জামানতের পরিমাণ আপনাকে SMS-এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।

এগুলো ছাড়াও আর কিছু নির্দেশনা ছিল যেটি এখনই প্রাসঙ্গিক নয় বলে জানানো হচ্ছে না। আর্টিকেলের পরবর্তী ধাপগুলোতে সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত ভাবে উপস্থাপন করা রয়েছে। 

অনলাইনে এনআইডি বা ভোটার আইডি কার্ডের ভুল সংশোধন করবেন যেভাবে

মিটারের জন্য আবেদন করতে কি কি ডকুমেন্টস প্রদান করতে হয়? 

বরাবরের মতো, যে কোন সার্ভিস গ্রহনের জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু ডকুমেন্টস সাবমিট করতে হয়। এবার অনলাইনে পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার জন্য কি কি লাগবে সে বিষয়ে জানানো হবে। 

১) আবেদনকারীর নাম, মোবাইল নাম্বার, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি এবং স্থায়ী ঠিকানার বিস্তারিত।

২) বর্তমানে যেই স্থানে মিটার সংযোগ করতে চাচ্ছেন সেটির ঠিকানা।

৩) সংযোগস্থলে জমির মালিকানার তথ্য, জমির দাগ নাম্বার ও খতিয়ান নাম্বারের তথ্য দিতে হবে।

৪) আপনি যে প্রোভাইডারের কাছ থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে চাচ্ছেন একই প্রোভাইডারের বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবহারকারীর (আপনার  প্রতিবেশী) গ্রাহক বই নাম্বার ও হিসাব নাম্বার এর তথ্য দিতে হবে।

৫) আপনার বাড়ির সবচেয়ে কাছে যে সার্ভিস পোল রয়েছে সেটি থেকে আপনার বাড়ির দূরত্ব ফিট আকারে মেপে দিতে হবে।

৬) আপনি বাড়িতে কী কী ইলেকট্রনিক জিনিস (যেমন: ফ্যান, লাইট, ফ্রিজ, টিভি) ব্যবহার করবেন তার একটি তালিকা এবং সেগুলোর মোট লোড (ওয়াট)। 

৭) বাসায় হাউজ ওয়ারিং নিশ্চয়নের জন্য গ্রাউন্ড রডের ক্যাশ মেমোর ছবি অথবা স্ক্যান কপি সাবমিট করতে হবে। 

মোটামুটি এইটুকু ডকুমেন্টসগুলোতে হয়ে যাবে। এবার পরবর্তীতে হাত থেকে জেনে নিন কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে কারো সংস্পর্শ অথবা দালাল ধরা ছাড়াই পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটারের জন্য আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে। 

অনলাইনে পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার নিয়ম 

এক নজরে, আবেদন পদ্ধতি 

অনলাইনে পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের জন্য আবেদন করতে, আপনি এই পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে পারেন:

  • BREB এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট [http://www.rebpbs.com] এ যান।
  • ওয়েবসাইটে “আবেদন করুন” বিভাগটি সন্ধান করুন এবং এটিতে ক্লিক করুন।
  • প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, যেমন পরিচয়ের প্রমাণ এবং ঠিকানার প্রমাণ, ওয়েবসাইটে আপলোড করুন। কোন ডকুমেন্টস প্রয়োজন তার নির্দেশনা ইতিমধ্যে প্রদান করা হয়েছে।
  • আপনার আবেদন অনলাইনে জমা দিন এবং BREB থেকে উত্তরের জন্য অপেক্ষা করুন। ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই আপনার আবেদনের অবস্থা ট্র্যাক করতে পারেন।
  • আবেদন অনুমোদিত হলে, BREB আপনার কাছে মিটার প্রদানের জন্য একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট নির্ধারণ করবে। আপনাকে অ্যাপয়েন্টমেন্টের তারিখ এবং সময় জানিয়ে দেওয়া হবে SMS এর মাধ্যমে।

বাংলালিংক বন্ধ সিম অফার ২০২৫এবং bondho sim offer চালু করার নিয়ম

অনলাইনে পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার নিয়ম (বিস্তারিত ভাবে)

প্রথমে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের অফিসিয়াল আবেদন পোর্টালে যান। ওয়েবসাইটে যাওয়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন: http://www.rebpbs.com/। এবার আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করুন ফরম পূরণের মাধ্যমে। 

নিচের দেয়া ছবিটিতে ভালোভাবে লক্ষ্য করুন যেখানে যেখানে লাল রঙের স্টার চিহ্ন দেওয়া রয়েছে সেই ঘরগুলোকে অবশ্যই পূরণ করতে হবে।

এই পর্যায়ে আপনার এলাকা অনুযায়ী জেলা ভিত্তিক পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি এবং জোনাল অফিস লিস্ট থেকে একটি সিলেক্ট করুন। 

আপনার বাড়িটি যদি একক ব্যবহারের জন্য হয়ে থাকে তবে এলটিএ  সিলেক্ট করুন আর আপনার বাড়িটি যদি বহুতালা কিংবা ফ্লাট আকারে হয়ে থাকে তবে এমটিএ সিলেক্ট করুন। অতঃপর ফরমেট দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী আবেদনকারীর ব্যক্তিগত তথ্যগুলো এক এক করে পূরণ করুন। 

এবার আবেদনকারীর স্থায়ী ঠিকানার তথ্য দেয়ার পাশাপাশি আবেদনকারী যে স্থানের জন্য বৈদ্যুতিক মিটার নিতে চাচ্ছে সেই স্থানের তথ্য প্রদান করতে হবে “প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ সংযোগস্থলের বিবরণ” অংশে। 

এই পর্যায়ে লোড সেকশনে আপনি আপনার বাসাতে যে সকল আইটেম ব্যবহার করবেন সেগুলো সিলেক্ট করুন সেগুলোর সংখ্যা এবং ওয়াট সম্পর্কে তথ্য প্রদান করুন। পাশাপাশি নির্দেশনা মোতাবেক প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসের স্ক্যান কপি অথবা সফট কপি আপলোড করুন।

বিঃদ্রঃ আপলোডকৃত ডকুমেন্টসের ক্ষেত্রে 

ছবি (300*300 পিক্সেল) সর্বোচ্চ 150 KB

জাতীয় পরিচয়পত্র (600*475 পিক্সেল) সর্বোচ্চ 300 KB

খারিজ বা জমির উত্তরাধিকার সনদ, সর্বোচ্চ 700 KB

সবশেষে শর্তাবলির বিস্তারিত তথ্যের অংশে টিক মার্ক দিয়ে আবেদনটি সম্পন্ন করুন। 

হাউস ওয়ারিং নিশ্চয়ন

আবেদন করার শেষে আবেদনত পত্রটি সংরক্ষণ করে রাখুন এক্ষেত্রে আবেদনে থাকা ট্রাকিং নাম্বার ও পিন নাম্বার পাবেন যেগুলো ছবি তুলে অথবা প্রিন্ট আউট করে নিজের কাছে রাখতে পারেন। 

সংরক্ষিত ট্রাকিং নাম্বার এবং পিন নাম্বার ব্যবহার করে আপনার আবেদনের হাউজ ওয়ারিং নিশ্চিত করুন। এক্ষেত্রে একই ওয়েবসাইটের মেনু অপশন থেকে হাউজ ওয়ারিং নিশ্চিত করুন লিংকে ক্লিক করে ট্রাকিং নাম্বার এবং পিন নাম্বার দিয়ে সাবমিট করুন। 

এরপর গ্রাউন্ড রডের ক্যাশ মেমরিটি আপলোড করতে বলা হবে সেটা প্লটের পর বাড়ির ঠিকানা লিখুন এবং ক্যাপচা কোড কমপ্লিট করে সম্পন্ন বাটনে ক্লিক করুন। হয়ে গেলে একটি এসএমএস এর মাধ্যমে তা জানিয়ে দেওয়া হবে। 

সংযোগ ফি পরিশোধ করার নিয়ম

সবকিছু ঠিক থাকলে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে আপনার মোবাইলে আবেদন ফি, জামানত ও সদস্য ফি পরিশোধ করার জন্য একটি SMS আসবে। আপনি সরাসরি অফিসে গিয়ে টাকা জমা দিতে পারেন অথবা ঘরে বসে রকেট মোবাইল ব্যাংকিং-এর মাধ্যমেও ফি পরিশোধ করতে পারেন।

রকেটের মাধ্যমে ফি পরিশোধ:

  • আপনার রকেট অ্যাপে লগইন করুন।
  • “Bill Pay” অপশনে যান।
  • সার্চ বক্সে “BREB” লিখে সার্চ করুন।
  • আপনার বিল নম্বর এবং টাকার পরিমাণ দিয়ে পিন নম্বর দিয়ে পেমেন্ট সম্পন্ন করুন।

সব শেষে পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন ফি কত তা জানানোর মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটির সমাপ্ত ঘটাবো। মূলত পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন ফি মাত্র ১১৫ টাকা যা রকেট একাউন্ট থেকে বিল পে অপশন থেকেই পরিশোধ করা যাবে। 

সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ Section)

প্রশ্ন: পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন ফি কত? 

উত্তর: সাধারণত প্রাথমিক আবেদন ফি ১১৫ টাকা। তবে এর সাথে সদস্য ফি এবং জামানতের টাকা যোগ হবে, যা আপনাকে SMS-এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।

প্রশ্ন: আবেদন করার কতদিন পর মিটার পাওয়া যায়? 

উত্তর: সাধারণত সকল প্রক্রিয়া (আবেদন, পরিদর্শন, ফি পরিশোধ) সঠিকভাবে সম্পন্ন হলে ১৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে মিটার সংযোগ দেওয়া হয়। তবে এটি এলাকাভেদে কম বা বেশি হতে পারে।

প্রশ্ন: আমার আবেদন বাতিল হলে কী করব? 

উত্তর: আবেদন বাতিল হলে বাতিলের কারণ আপনাকে SMS-এর মাধ্যমে জানানো হবে। আপনি সেই সমস্যা সমাধান করে পুনরায় আবেদন করতে পারবেন।

প্রশ্ন: জমির দলিল না থাকলে কী করব? 

উত্তর: জমির দলিল না থাকলে, ওয়ারিশান সনদ বা জমি যে আপনার দখলে আছে, তার উপযুক্ত প্রমাণপত্র (যেমন: ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের প্রত্যয়নপত্র) দিয়ে আবেদন করা যেতে পারে।

ইতিকথা 

আশা করি, অনলাইনে পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে আপনি একটি স্বচ্ছ ধারণা পেয়েছেন। উপরের ধাপগুলো অনুসরণ করলে আপনি কোনো ঝামেলা ছাড়াই নিজের বাড়ির জন্য বিদ্যুৎ সংযোগের আবেদন করতে পারবেন। মনে রাখবেন, সঠিক তথ্য দিয়ে আবেদন করলে এবং দালাল এড়িয়ে চললে পুরো প্রক্রিয়াটি অনেক সহজ ও সাশ্রয়ী হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *